কুরআনে ضَرَبَ ফ্যামিলির ১৩টি বহুল ব্যবহৃত ফিল

এখানে ضَرَبَ ফ্যামিলির ১৩টি নিয়মিত ক্রিয়া/ফি’ল রয়েছে। এই ১৩টি ক্রিয়া কুরআনে বিভিন্ন রূপে মোট ১০২২ বার ব্যবহৃত হয়েছে। আসুন আমরা ধীরে ধীরে, আমাদের নিজস্ব গতিতে একটু একটু করে ক্রিয়া/ফি’লগুলোর সাথে পরিচিত হই ।

مَفْعُولفَاعِلٌالنَّهْيُالْأَمْرُالْمُضَارِعالْمَاضِي
বাংলা অর্থকর্মকর্তানিষেধবাচকআদেশবাচকবর্তমান/ভবিষ্যৎ কালঅতীত কাল
আঘাত করাمَضْرُوبٌضَارِبٌلَا تَضْرِبْاِضْرِبْيَضْرِبُضَرَبَ
বহন করাمَحْمُولٌحَامِلٌلَا تَحْمِلْاِحْمِلْيَحْمِلُحَمَلَ
অগ্রসর হওয়াمَسْبُوقٌسَابِقٌلَا تَسْبِقْاِسْبِقْيَسْبِقُسَبَقَ
ফিরে আসাمَرْجُوعٌرَاجِعٌلَا تَرْجِعْاِرْجِعْيَرْجِعُرَجَعَ
ধৈর্য ধারণ করাمَصْبُورٌصَابِرٌلَا تَصْبِرْاِصْبِرْيَصْبِرُصَبَرَ
জুলুম করাمَظْلُومٌظَالِمٌلَا تَظْلِمْاِظْلِمْيَظْلِمُظَلَمَ
চিনতে পারাمَعْرُوفٌعَارِفٌلَا تَعْرِفْاِعْرِفْيَعْرِفُعَرَفَ
উপলব্ধি করাمَعْقُولٌعَاقِلٌلَا تَعْقِلْاِعْقِلْيَعْقِلُعَقَلَ
ক্ষমা করাمَغْفُورٌغَافِرٌلَا تَغْفِرْاِغْفِرْيَغْفِرُغَفَرَ
নির্ধারণ করাمَقْدُورٌقَادِرٌلَا تَقْدِرْاِقْدِرْيَقْدِرُقَدَرَ
মিথ্যা বলাمَكْذُوبٌكَاذِبٌلَا تَكْذِبْاِكْذِبْيَكْذِبُكَذَبَ
উপার্জন করাمَكْسُوبٌكَاسِبٌلَا تَكْسِبْاِكْسِبْيَكْسِبُكَسَبَ
মালিক হওয়াمَمْلُوكٌمَالِكٌلَا تَمْلِكْاِمْلِكْيَمْلِكُمَلَكَ
  1. الماضي /অতীত কাল/Perfect : এমন ক্রিয়া যা অতীতে সংঘটিত হয়েছে।
  2. المضارع/বর্তমান/ভবিষ্যৎ কাল/Imperfect : এমন ক্রিয়া যা বর্তমানে হচ্ছে বা ভবিষ্যতে হতে পারে।
  3. الأمر /আদেশবাচক/Command: অন্য কাউকে কোনো কাজ করতে বলার জন্য ব্যবহৃত ক্রিয়া।
  4. النهي/নিষেধবাচক/Forbid: কাউকে কোনো কাজ করতে নিষেধ করার জন্য ব্যবহৃত ক্রিয়া (যেমন: “করো না”)।
  5. فاعلٌ/কর্তা/Subject/Doer : যে কাজটি করে, অর্থাৎ ক্রিয়ার কর্তা।
  6. مفعولٌ/কর্ম/Object: যার ওপর কাজটি সম্পাদিত হয়, অর্থাৎ ক্রিয়ার বস্তু।

চলুন ! একটি গল্পের মাধ্যমে শব্দগুলো পুনরালোচনা করি।

বাংলাদেশের এক সফল ব্যবসায়ী ছিলেন আসিফ। তার বিলাসবহুল জীবন, গাড়ি, সম্পদ, খ্যাতি—সবই দেখে অনেকে হিংসা করত। আসিফ নিজেও ভাবতেন, সব কিছু তিনি নিজেই উপার্জন করেছেন (كَسَبَ), এবং তিনিই এর প্রকৃত মালিক (مَلَكَ)।

তাঁর অফিসে একজন সৎ ও মেধাবী কর্মচারী ছিল—রাফি। রাফি অনেকবার সঠিক পরিকল্পনা দিয়ে কোম্পানিকে অগ্রসর করেছিল (سَبَقَ), কিন্তু আসিফ সব কৃতিত্ব নিজের নামে চালিয়ে দিত।

একদিন অফিস মিটিংয়ে রাফি একটি ভুল ধরলে আসিফ রেগে গিয়ে তাঁকে সবার সামনে আঘাত করে বসেন (ضَرَبَ)।
এই অপমান সত্ত্বেও রাফি চুপ ছিল। সে প্রতিশোধ নেয়নি, বরং ধৈর্য ধরেছিল (صَبَرَ)।

রাফির সেই আচরণে অফিসের সবাই অবাক হলো। কিন্তু আসিফ তার অহংকারে অন্ধ ছিল। সে তার ভুল ঢাকতে গিয়ে রাফির বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ আনল (كَذَبَ), যে সে নাকি অফিসের তথ্য চুরি করেছে।

কিন্তু কিছুদিনের মধ্যেই প্রকৃত সত্য প্রকাশ পেল। রাফি নির্দোষ প্রমাণিত হলো এবং কোম্পানির বড় একটি প্রকল্পের নেতৃত্ব তার হাতে তুলে দেওয়া হলো।

এই ঘটনার পর, একদিন অফিসের এক কর্মচারী ভারী মাল বহন করতে গিয়ে (حَمَلَ) অসাবধানতাবশত আসিফের গায়ে ধাক্কা লাগিয়ে ফেলে। এতে সে পড়ে গিয়ে গুরুতর আহত হলো। অনেকদিন বিছানায় শুয়ে থাকতে হলো। তখন সে উপলব্ধি করল—সবকিছু আমার হাতে নয়, বরং আল্লাহই আমার জীবনের সবকিছু স্থির করে দিয়েছেন (قَدَرَ)

সে শুয়ে শুয়ে ভাবতে লাগল— সে কত জুলুম করেছে (ظَلَمَ), কত জনকে চেনেনি (عَرَفَ) বা বুঝেনি , কত জনকে ক্ষমা করতে পারত (غَفَرَ) কিন্তু করেনি।

এই চিন্তাগুলো তাকে ভেতর থেকে পরিবর্তন এনে দিল। সে উপলব্ধি করল (عَقَلَ), যে সম্পদ, সম্মান, ক্ষমতা—সবই ক্ষণস্থায়ী। সে অফিসে ফিরে এসে (رَجَعَ) সবার কাছে ক্ষমা চাইল।

রাফিকে কাছে ডেকে বলল: “তুমি শুধু একজন দক্ষ কর্মী না, একজন সত্যিকারের মানুষ। আমি আমার সীমাহীন অহংকারের জন্য অনুতপ্ত।”

রাফি হেসে বলল: “স্যার, আল্লাহ যাকে চান, তাকেই সঠিক পথে ফেরান। আলহামদুলিল্লাহ, আপনি সেটা বুঝতে পেরেছেন।”


চলুন ! আমরা এখন উপরের শব্দগুলোর উপর একটি কুইজ সমাধান করি ইন শা আল্লাহ।

আঘাত করা → কোনটি সঠিক?

বহন করা → কোনটি সঠিক?

অগ্রসর হওয়া → কোনটি সঠিক?

ফিরে আসা → কোনটি সঠিক?

ধৈর্য ধরা → কোনটি সঠিক?

জুলুম করা → কোনটি সঠিক?

চিনতে পারা → কোনটি সঠিক?

উপলব্ধি করা → কোনটি সঠিক?

ক্ষমা করা → কোনটি সঠিক?

মূল্যায়ন করা / স্থির করা → কোনটি সঠিক?

মিথ্যা বলা → কোনটি সঠিক?

উপার্জন করা → কোনটি সঠিক?

মালিক হওয়া → কোনটি সঠিক?

“إِغْفِرْ” এর الماضي কোনটি?

“لَا تَكْذِبْ” এর মূল الماضي ক্রিয়া কোনটি?

error: Content is protected !!
Scroll to Top