ফ্যামিলি -১ : نَصَرَ
এখানে দুটি তালিকা রয়েছে, যেখানে نَصَرَ ফ্যামিলির ২৬টি নিয়মিত ক্রিয়া/ফি’ল রয়েছে। এই ২৬টি ক্রিয়া কুরআনে বিভিন্ন রূপে মোট ২৩৬০ বার ব্যবহৃত হয়েছে। আসুন আমরা ধীরে ধীরে, আমাদের নিজস্ব গতিতে একটু একটু করে ক্রিয়া/ফি’লগুলোর সাথে পরিচিত হই ।
مَفْعُول | فَاعِلٌ | النَّهْيُ | الْأَمْرُ | الْمُضَارِع | الْمَاضِي | |
---|---|---|---|---|---|---|
বাংলা অর্থ | কর্ম | কর্তা | নিষেধবাচক | আদেশবাচক | বর্তমান/ভবিষ্যৎ কাল | অতীত কাল |
সাহায্য করা | مَنْصُورٌ | نَاصِرٌ | لَا تَنْصُرْ | اُنْصُرْ | يَنْصُرُ | نَصَرَ |
পৌঁছানো | مَبْلُوغٌ | بَالِغٌ | لَا تَبْلُغْ | اُبْلُغْ | يَبْلُغُ | بَلَغَ |
বিস্তৃত করা | مَبْسُوطٌ | بَاسِطٌ | لَا تَبْسُطْ | أَبْسِطْ | يَبْسُطُ | بَسَطَ |
ত্যাগ করা | مَتْرُوكٌ | تَارِكٌ | لَا تَتْرُكْ | اُتْرُكْ | يَتْرُكُ | تَرَكَ |
একত্রিত করা | مَحْشُورٌ | حَاشِرٌ | لَا تَحْشُرْ | اُحْشُرْ | يَحْشُرُ | حَشَرَ |
বিচার করা | مَحْكُومٌ | حَاكِمٌ | لَا تَحْكُمْ | اُحْكُمْ | يَحْكُمُ | حَكَمَ |
বের হওয়া | مَخْرُوجٌ | خَارِجٌ | لَا تَخْرُجْ | اُخْرُجْ | يَخْرُجُ | خَرَجَ |
চিরকাল অবস্থান করা | مَخْلُودٌ | خَالِدٌ | لَا تَخْلُدْ | اُخْلُدْ | يَخْلُدُ | خَلَدَ |
সৃষ্টি করা | مَخْلُوقٌ | خَالِقٌ | لَا تَخْلُقْ | أَخْلِقْ | يَخْلُقُ | خَلَقَ |
প্রবেশ করা | مَدْخُولٌ | دَاخِلٌ | لَا تَدْخُلْ | اُدْخُلْ | يَدْخُلُ | دَخَلَ |
স্মরণ করা | مَذْكُورٌ | ذَاكِرٌ | لَا تَذْكُرْ | أُذْكُرْ | يَذْكُرُ | ذَكَرَ |
রিজিক দেওয়া | مَرْزُوقٌ | رَازِقٌ | لَا تَرْزُقْ | اُرْزُقْ | يَرْزُقُ | رَزَقَ |
সিজদা করা | مَسْجُودٌ | سَاجِدٌ | لَا تَسْجُدْ | اُسْجُدْ | يَسْجُدُ | سَجَدَ |
উপলব্ধি করা | مَشْعُورٌ | شَاعِرٌ | لَا تَشْعُرْ | اُشْعُرْ | يَشْعُرُ | شَعَرَ |
কৃতজ্ঞ হওয়া | مَشْكُورٌ | شَاكِرٌ | لَا تَشْكُرْ | اُشْكُرْ | يَشْكُرُ | شَكَرَ |
সত্য বলা | مَصْدُوقٌ | صَادِقٌ | لَا تَصْدُقْ | اُصْدُقْ | يَصْدُقُ | صَدَقَ |
ইবাদত করা | مَعْبُودٌ | عَابِدٌ | لَا تَعْبُدْ | اُعْبُدْ | يَعْبُدُ | عَبَدَ |
সীমালঙ্ঘন করা | مَفْسُوقٌ | فَاسِقٌ | لَا تَفْسُقْ | اُفْسُقْ | يَفْسُقُ | فَسَقَ |
হত্যা করা | مَقْتُولٌ | قَاتِلٌ | لَا تَقْتُلْ | اُقْتُلْ | يَقْتُلُ | قَتَلَ |
বসা | مَقْعُودٌ | قَاعِدٌ | لَا تَقْعُدْ | اُقْعُدْ | يَقْعُدُ | قَعَدَ |
লিখা | مَكْتُوبٌ | كَاتِبٌ | لَا تَكْتُبْ | أُكْتُبْ | يَكْتُبُ | كَتَبَ |
গোপন রাখা | مَكْتُومٌ | كَاتِمٌ | لَا تَكْتُمْ | اُكْتُمْ | يَكْتُمُ | كَتَمَ |
অবিশ্বাস করা | مَكْفُورٌ | كَافِرٌ | لَا تَكْفُرْ | اُكْفُرْ | يَكْفُرُ | كَفَرَ |
ষড়যন্ত্র করা | مَمْكُورٌ | مَاكِرٌ | لَا تَمْكُرْ | اُمْكُرْ | يَمْكُرُ | مَكَرَ |
তাকানো | مَنْظُورٌ | نَاظِرٌ | لَا تَنْظُرْ | اُنْظُرْ | يَنْظُرُ | نَظَرَ |
নিশ্বাস নেওয়া | مَنْفُوخٌ | نَافِخٌ | لَا تَنْفُخْ | اُنْفُخْ | يَنْفُخُ | نَفَخَ |
- الماضي /অতীত কাল/Perfect : এমন ক্রিয়া যা অতীতে সংঘটিত হয়েছে।
- المضارع/বর্তমান/ভবিষ্যৎ কাল/Imperfect : এমন ক্রিয়া যা বর্তমানে হচ্ছে বা ভবিষ্যতে হতে পারে।
- الأمر /আদেশবাচক/Command: অন্য কাউকে কোনো কাজ করতে বলার জন্য ব্যবহৃত ক্রিয়া।
- النهي/নিষেধবাচক/Forbid: কাউকে কোনো কাজ করতে নিষেধ করার জন্য ব্যবহৃত ক্রিয়া (যেমন: “করো না”)।
- فاعلٌ/কর্তা/Subject/Doer : যে কাজটি করে, অর্থাৎ ক্রিয়ার কর্তা।
- مفعولٌ/কর্ম/Object: যার ওপর কাজটি সম্পাদিত হয়, অর্থাৎ ক্রিয়ার বস্তু।
চলুন ! একটি গল্পের মাধ্যমে শব্দগুলো পুনরালোচনা করি।
“আল্লাহর পথে ফিরে আসা”
রায়হান ছিল এক মুসলিম পরিবারের সন্তান। ছোটবেলায় সে নিয়মিত নামাজ পড়ত, ভালো কাজ করত। কিন্তু বয়স বাড়ার সাথে সাথে সে আল্লাহর স্মরণ থেকে দূরে সরে যায়। সে ধীরে ধীরে ইবাদত ত্যাগ করে (تَرَكَ), সিজদা (سَجَدَ) বিমুখ হয়ে দুনিয়ার মোহে হারিয়ে যায়।
তার জীবনে ছিল না কোনো নির্দিষ্ট গন্তব্য। সে শুধু চাইত অর্থ, নাম, খ্যাতি। মানুষকে ধোঁকা দিত, সত্য গোপন করত (كَتَمَ), অবিশ্বাসে ডুবে থাকতো (كَفَرَ), সীমা লঙ্ঘন করত (فَسَقَ) এবং চক্রান্ত করত (مَكَرَ) । তার সময় কাটত নিষিদ্ধ কামনা-বাসনায় এবং অসুস্থ কল্পনায় । হারাম জিনিসের দিকে তাকিয়ে থাকতে থাকতে (نَظَرَ) সে আল্লাহর স্মরণ (ذَكَرَ) ভুলে গিয়েছিল।
তার জীবনে এক সময় এমন পর্যায় এলো যখন সে অপরকে হত্যার (قَتَلَ) মতো সিদ্ধান্ত নিয়েছিল— যদিও সেটা বাস্তবে ঘটেনি কিন্তু চিন্তাতেই সে এতো নিচে নেমে গিয়েছিল।
একদিন সে এক ইসলামি আলোচনা সভায় অংশ নেয়। সেখানে বক্তা বলছিলেন —আল্লাহ যাকে ইচ্ছা, তাকে অফুরন্ত রিজিক দেন (رَزَقَ), হিদায়াত দান করেন এবং তাঁর রহমতের দরজায় প্রবেশ করান (دَخَلَ)। কিন্তু কেউ যদি গুনাহের মধ্যে লিপ্ত থাকে এবং তওবা করে আল্লাহর দিকে ফিরে না আসে, তবে সে ধীরে ধীরে হিদায়াতের পথ থেকে বেরিয়ে যায় (خَرَجَ) এবং চূড়ান্ত ক্ষতিতে নিপতিত হয়।
এই কথা শুনে রায়হানের অন্তর ভেঙে পড়ল । তার ভেতরে যেন কোনো কিছু উপলব্ধি হলো (شَعَرَ) — এমন গভীর উপলব্ধি, যা আগে কখনো হয়নি।
সে নিজের ভেতরের শূন্যতাগুলো ডায়েরিতে লিখে রাখল (كَتَبَ)। সেই রাতে সে আল্লাহর সামনে নত হয়ে সিজদায় লুটিয়ে পড়ল (سَجَدَ) এবং বলল, “হে আল্লাহ! আপনি আমাকে সৃষ্টি করেছেন (خَلَقَ)। আপনি আমাকে ক্ষমা করুন। আমি আপনার দিকে ফিরে আসতে চাই, আপনার রহমতের জান্নাতে চিরকাল থাকতে চাই (خَلَدَ)।”
এরপর থেকে রায়হান বদলে যায়। সে নিজের ভুল বুঝে সত্য স্বীকার করে (صَدَقَ) এবং কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে (شَكَرَ)।
সে শুধু নিজেই বদলায়নি, বরং অন্যদের সাহায্য করে (نَصَرَ), উপদেশ দেয় (ذَكَرَ) এবং দ্বীনের দাওয়াত ব্যপকভাবে প্রচার করে (بَسَطَ)।
সে বলে, “আমি অনেক দূর পৌঁছাতে চেয়েছিলাম (بَلَغَ) কিন্তু ভুল পথে। এখন আমি জানি, প্রকৃত সফলতা হলো — আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জন ও ইবাদতের মাধ্যমে জান্নাতে প্রবেশ করা (دَخَلَ)।”
রায়হান এখন প্রতিদিন আল্লাহর কাছে ইবাদত করে (عَبَدَ) এবং বলে —“হে আল্লাহ ! আমাকে সেই দলের অন্তর্ভুক্ত করুন, যাদেরকে আপনি একত্র করবেন (حَشَرَ)বিচারের দিনে, যারা আপনার পক্ষ থেকে সহজ বিচার পাবেন (حَكَمَ), এবং জান্নাতে চিরকাল অবস্থান করবেন (خَلَدَ)।”
নৈতিক শিক্ষা:
পৃথিবীর আসল সফলতা সম্পদ বা খ্যাতিতে নয়—বরং আল্লাহর পথে ফিরে আসা, সত্য গ্রহণ করা, ভুল থেকে শিক্ষা নেওয়া, এবং তাঁর সন্তুষ্টির জন্য জীবন গড়ে তোলাতেই রয়েছে প্রকৃত মুক্তি।
চলুন ! আমরা এখন উপরের শব্দগুলোর উপর একটি কুইজ সমাধান করি ইন শা আল্লাহ।
নিশ্বাস নেওয়া → কোনটি সঠিক?
চক্রান্ত করা → কোনটি সঠিক?
সত্য বলা → কোনটি সঠিক?
সিজদা করা → কোনটি সঠিক?
হত্যা করা → কোনটি সঠিক?
লেখা → কোনটি সঠিক?
বসা → কোনটি সঠিক?
স্মরণ করা → কোনটি সঠিক?
সৃষ্টি করা → কোনটি সঠিক?
চিরকাল অবস্থান করা → কোনটি সঠিক?
পৌঁছানো → কোনটি সঠিক?
সীমালঙ্ঘন করা → কোনটি সঠিক?
গোপন রাখা → কোনটি সঠিক?
বিচার করা → কোনটি সঠিক?
তাকানো → কোনটি সঠিক?
রিজিক দেওয়া → কোনটি সঠিক?
ত্যাগ করা → কোনটি সঠিক?
ইবাদত করা → কোনটি সঠিক?
অনুভব করা → কোনটি সঠিক?
প্রবেশ করা → কোনটি সঠিক?