ক্রিয়াবাচক বাক্যের উপাদানসমূহ

আরবি ভাষায় একটি ক্রিয়াবাচক বাক্যকে جملة فعلية/জুমলা ফি’লিয়া/Verbal Sentence বলা হয়। এই ধরনের বাক্যে চারটি প্রধান উপাদান থাকে:

১. ক্রিয়া (فِعْلٌ – ফি’ল)
ক্রিয়া হলো এমন একটি শব্দ যা কোনো কাজ বা কর্মকে নির্দেশ করে। আরবি ভাষায় ক্রিয়াকে প্রধানত দুটি ভাগে ভাগ করা যায়:

  • Perfect/অতীত কাল: কাজ সম্পন্ন হয়েছে।
  • Imperfect /বর্তমান/ভবিষ্যৎ কাল: কাজ সম্পন্ন হচ্ছে বা হবে।

এছাড়াও ক্রিয়ার রূপ সর্বনাম এবং কালের ভিত্তিতে পরিবর্তিত হয়। উদাহরণস্বরূপ:


লাইটেস্ট

লাইট

বর্তমান/ভবিষ্যত
/المضارع

অতীত/الماضي
يَضْرِبْ يَضْرِبَيَضْرِبُضَرَبَ

Passive
(বর্তমান/ভবিষ্যত)

Passive (অতীত)
يُضْرَبُضُرِبَ

অনুজ্ঞাসূচক
নিষেধ/نَهْي

অনুজ্ঞাসূচক
আদেশ/أَمْر
لاَ تَضْرِبْإِضْرِبْ

২. কর্তা (فَاعِلٌ – ফা’ইল)
কর্তা হলো সেই ব্যক্তি বা বস্তু, যা কাজ সম্পাদন করে। কর্তা মূলত দুই প্রকার হতে পারে:

  • মুক্ত সর্বনাম: যা সাধারণত ক্রিয়ার মধ্যে লুকায়িত থাকে।
  • বিশেষ্য: যা সাধারণত ক্রিয়ার পরে রফা অবস্থায় দেখা যায়।

উদাহরণসহ ব্যাখ্যা:

বিশ্লেষণক্রিয়াবাচক বাক্য
এই বাক্যে خَلَقَ ফি’লের মধ্যে কর্তা (সর্বনাম-هُوَ/সে/তিনি) লুকায়িত আছে।خَلَقَكُم مِّن نَّفْسٍ وَاحِدَةٍ
এই বাক্যে قَتَلَ ফি’লের জন্য কর্তা হলো রফা ফর্মে থাকা دَاوُودُقَتَلَ دَاوُودُ جَالُوتَ

৩. কর্ম (مَفْعُوْلٌ – মাফউল)
কর্ম হলো সেই ব্যক্তি বা বস্তু, যার ওপর ক্রিয়ার প্রভাব পড়ে। এটি সাধারণত ক্রিয়া এবং কর্তার পর আসে এবং বাক্যের অর্থকে তথ্যবহুল করে তোলে। মাফউল সাধারণত নাসব স্ট্যাটাসে আসে। মাফউলকে বিভিন্নভাবে নামকরণ করা যায়। সরলতার জন্য, আমরা কেবল দুটি প্রধানভাগে বিভক্ত করবো, যথা :

  • মাফউলুন বিহি (ব্যক্তি/বস্তুবাচক কর্ম):কাকে‘ বা ‘কী‘ দ্বারা ক্রিয়া সংঘটিত হয়েছে, তা বোঝাতে ব্যবহার হয়।
  • অন্যান্য মাফউল: একটি ক্রিয়াবাচক বাক্যে ‘কী‘ বা ‘কাকে‘র প্রশ্নের উত্তর ছাড়াও আরো প্রশ্নের (কোথায়, কখন, কিভাবে ইত্যাদি) উত্তর থাকতে পারে। সাধারণত ঐ ধরণের প্রশ্নের উত্তরে নাসব স্ট্যাটাসের ইসম/বাক্যাংশ(মুদফ ইলাইহি অথবা মাউসুফ সিফাহ) অন্যান্য মাফউল হিসেবে আসে। উদাহরণস্বরূপ:
কোন প্রশ্নের উত্তরমাফউলক্রিয়াবাচক বাক্য
কাকেجَالُوتَقَتَلَ دَاوُودُ جَالُوتَ
কাকে হত্যা করল ?জালূতকেদাউদ জালূতকে হত্যা করল
কাকেكُمخَلَقَكُم مِّن نَّفْسٍ وَاحِدَةٍ
কাকে সৃষ্টি করেছেন ?তোমাদেরকেতিনি তোমাদেরকে এক ব্যক্তি থেকে সৃষ্টি করেছেন
কীالْقُرْآنَوَلَقَدْ يَسَّرْنَا الْقُرْآنَ لِلذِّكْرِ
কী সহজ করেছি ?কোরআনকেনিশ্চয় আমরা কোরআনকে বোঝার জন্যে সহজ করেছি
কাকে
কখন
قَوْمِي
لَيْلًا وَنَهَارًا
دَعَوْتُ قَوْمِي لَيْلًا وَنَهَارًا 
কাকে দাওয়াত দিয়েছি ?
কখন দাওয়াত দিয়েছি ?

আমার সম্প্রদায়কে
দিবারাত্রি
আমি আমার সম্প্রদায়কে দিবারাত্রি দাওয়াত দিয়েছি
কাকে
কেন

أَوْلَادَكُمْ
خَشْيَةَ إِمْلَاقٍ
لَا تَقْتُلُوا أَوْلَادَكُمْ خَشْيَةَ إِمْلَاقٍ
কাকে হত্যা করো না?
কেন হত্যা করো না ?
তোমাদের সন্তানদেরকে
দারিদ্রতার ভয়ে
তোমরা তোমাদের সন্তানদেরকে
দারিদ্রতার ভয়ে হত্যা করো না

৪. মুতাআল্লিক বিল ফি’ল (مُتَعَلِّقٌ بِـالفِعْلِ)
যদি কোনো বাক্যে জার মাজরুর বা বিশেষ মুদফ-মুদফ ইলাইহি বাক্যাংশ আসে, তা মুতাআল্লিক বিল ফি’ল হিসেবে গণ্য হয়। এগুলো ফি’লের সাথে সম্পর্কিত থাকে এবং বাক্যের অর্থকে আরো তথ্যবহুল করে। উদাহরণস্বরূপ:

বাক্যাংশমুতাআল্লিকক্রিয়াবাচক বাক্য
জার মাজরুর*مِّن نَّفْسٍ وَاحِدَةٍخَلَقَكُم مِّن نَّفْسٍ وَاحِدَةٍ
বিশেষ মুদফ-মুদফ ইলাইহিفَوْقَكُمْبَنَيْنَا فَوْقَكُمْ سَبْعًا شِدَادًا
*জার-মাজরুর বাক্যাংশের সাথে সমন্বিতভাবে মুদফ মুদফ ইলাইহি/মাউসুফ সিফাহ বাক্যাংশ আসতে পারে। যেহেতু বাক্যাংশটি শুরু হচ্ছে জার-মাজরুর হিসাবে, আমরা এটাই বিবেচনা করবো।

Leave a comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!