পবিত্র কুরআনের ব্যাকরণ শেখার পূর্বশর্ত এবং লক্ষণীয় বিষয়

পবিত্র কুরআনের ব্যাকরণ শেখার পূর্বশর্ত

পবিত্র কুরআনের ব্যাকরণ শেখার প্রধান পূর্বশর্ত হল পবিত্র কুরআন কিভাবে পড়তে হয় তা জানা। পড়ায় দক্ষ হওয়া জরুরি না। কেউ কষ্ট করে পড়তে পারলেও চলবে।যারা পবিত্র কুরআনুল কারীম পড়তে পারেননা, তারা ১০ মিনিটস স্কুল থেকে এই ২৪ ঘণ্টায় কোরআন শিখি পেইড কোর্সটি করে নিতে পারেন ।

পবিত্র কুরআনের ব্যাকরণ শেখার জন্য লক্ষণীয় বিষয়

পবিত্র কুরআনের ব্যাকরণ শেখার সময় নিচের বিষয়গুলো লক্ষ্য রাখতে হবে :

ওয়াকফ না করে পড়লে উচ্চারণটা কেমন হত

পবিত্র কোরআন তেলাওয়াত করার সময়, আমরা ওয়াকফের নিয়ম মেনে চলি এবং প্রয়োজনে উচ্চারণ ছেঁটে ফেলি।কিন্তু ব্যাকরণ শিখার জন্য উচ্চারণটি ছেঁটে না ফেললে কেমন হত লক্ষ্য রাখতে হবে।বিষয়টি বোঝার জন্য নিচের টেবিলে কিছু উদাহরণ দেওয়া হলো:

কী ছিলকী পড়ি আয়াত
আহাদুনআহাদقُلْ هُوَ اللَّهُ أَحَدٌ
লুমাযাতিনলুমাযাহوَيْلٌ لِّكُلِّ هُمَزَةٍ لُّمَزَةٍ 
আল্লাহুআল্লাহإِنْ شَاءَ ٱللَّٰهُ
লিল্লাহিলিল্লাহ الْحَمْدُ لِلَّهِ 

না মিলিয়ে পড়লে কেমন হত

পবিত্র কুরআন তেলাওয়াত করার সময়, আমরা তাজবীদের নিয়ম অনুসরণ করে একটি শব্দের সাথে অন্য একটি শব্দকে মিলিয়ে পড়ি। এটি তিলাওয়াতের জন্য ঠিক আছে। কিন্তু ব্যাকরণ বোঝার জন্য আমাদের প্রতিটি শব্দ আলাদা করে বুঝতে হবে। অতএব, লক্ষ্য রাখতে হবে একটি শব্দের সাথে অন্য একটি শব্দকে মিলিয়ে ফেলার আগে শব্দের প্রকৃত রূপ কী ছিল। বিষয়টি বোঝার জন্য নিচের টেবিলে কিছু উদাহরণ দেওয়া হলো:

কী ছিলকিভাবে পড়ি আয়াত
বিসমি আল্লাহি আররহমানি আররহিমিবিসমিল্লাহির রহমানির রহিম بِسْمِ اللَّهِ الرَّحْمَٰنِ الرَّحِيمِ 
কূল হুয়া আল্লাহু আহাদুনকূল হুয়াল্লাহু আহাদ قُلْ هُوَ اللَّهُ أَحَدٌ 
আল্লাহু আছ্ছমাদুআল্ল হুছ্ছমাদ اللَّهُ الصَّمَدُ

নূন/ن হরফকে আলাদা করে গুরুত্ব দিতে হবে

নূন/ن হরফটি দুইটি রূপে পাওয়া যাবে। একটি দৃশ্যমান এবং আরেকটি লুকায়িত। দৃশ্যমান নূন হরফের ব্যাপারে বিস্তারিত ব্যাখ্যার প্রয়োজন নেই কারণ এই নূন হরফটি শব্দের শেষে দেখা যাবে। অন্যদিকে লুকায়িত নূন হরফটি তানবীনের মধ্যে নূন ছাকিন হিসাবে লুকায়িত থাকে। বিষয়টি বোঝার জন্য নিচে উদাহরণ দেওয়া হলো:

যেমন مُفْلِحُوْنَ শব্দের মধ্যে নূন/ن হরফটি দেখা যাচ্ছে অন্যদিকে مُفْلِحٌ শব্দের মধ্যে নূন হরফ যদিও দেখা যাচ্ছেনা কিন্তু তানবীনকে যদি বিশ্লেষণ করি, তাহলে একটি নূন ছাকিন حُنْ পাওয়া যায়।

মাদের হরফগুলোকে আলাদা করে গুরুত্ব দিতে হবে

আরবি ব্যাকরণে তিনটি মাদের হরফ রয়েছে যথা ا و ي এই তিনটি মৌলিক মাদের হরফের নিয়মগুলো নিম্নরূপ :

ক. যবরের বাম পাশে খালি আলিফ মাদের হরফ। মাদের হরফ হলে এক আলিফ টেনে পড়তে হয়।যেমন بَا
খ. পেশের বাম পাশে জযম ওয়ালা ওয়াও মাদের হরফ। মাদের হরফ হলে এক আলিফ টেনে পড়তে হয়। যেমন بُوْ
গ. যেরের বাম পাশে জযমওয়ালা ইয়া মাদের হরফ। মাদের হরফ হলে এক আলিফ টেনে পড়তে হয়। যেমন بِىْ
ঘ. এছাড়াও খাড়া যবর, খাড়া যের, উল্টা পেশ হইলে এক আলিফ টেনে পড়তে হয়।

আরবি ব্যাকরণ বুঝার জন্য পূর্বোক্ত মদের হরফগুলোর ব্যবহার মনোযোগ সহকারে লক্ষ্য করতে হবে।

3 thoughts on “পবিত্র কুরআনের ব্যাকরণ শেখার পূর্বশর্ত এবং লক্ষণীয় বিষয়”

  1. সাদিয়া উজমা সিদ্দিকা

    SubhanAllah Etto details to jantam na. কিন্তু একটা প্রশ্ন। مُفْلِحٌ. শব্দটির মূল কী তবে مُفْلِحُنْ ছিলো। আর উচ্চারণের সুবিধা বা অন্য কারণে কী তানউইন আনা হয়েছে?

  2. You should enable Next post Previous post pagination in 2022 theme for easier navigation

Comments are closed.

error: Content is protected !!
Scroll to Top