কুরআনুল কারীমের ব্যাকরনের পরিভাষা (Glossary)

পবিত্র কুরআনুল কারীমের ব্যাকরনের পরিভাষা (Glossary of Quranic Arabic Grammar)

পবিত্র কুরআনুল কারীমের ব্যাকরন শেখার জন্য এর পরিভাষা বোঝা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। একটি সুগঠিত পরিভাষা (Glossary) দ্রুত কোনো ব্যাকরনের শব্দ বা ধারণার অর্থ বুঝতে সহায়তা করে, দীর্ঘ বিশ্লেষণের প্রয়োজন হয় না। এই ব্লগপোস্টে একটি সংক্ষিপ্ত পরিভাষা তুলে ধরা হবে ইন শা আল্লাহ !

আরবি ব্যাকরণে পদ তিন প্রকার। তন্মধ্যে ইসম অন্যতম এবং সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত পদ। ইসম এমন একটি শব্দ যা একটি বাক্যে ব্যক্তি, স্থান, জিনিস, প্রাণী বা কোন মতের ধারণা দেয়।  এমনকি ইসমের (Noun) মধ্যে সর্বনাম (Pronoun), বিশেষণ (Adjective & Adverb) ও কিছু অব্যয় (Interjection) অন্তুর্ভুক্ত। ইসম কোন কালের সাথে সম্পর্কিত নয়।

  • উদাহরণ:  ٱلْإِنسَانُ (মানুষ), ٱلْكِتَابُ (বই), ٱلْقَمَرُ (চন্দ্র), ٱلْجَنَّةُ (স্বর্গ)

বিস্তারিত পড়তে দয়া করে এই লিঙ্ক অনুসরণ করুন : https://quranicarabiclearningcafe.com/ইসমের-পরিচিতি/

আরবি ব্যাকরণে পদ তিন প্রকার—ইসম (নাম), ফি’ল (ক্রিয়া), এবং হারফ (সংযোগকারী শব্দ)। হারফ হলো একটি শব্দ, যা বাক্যের অর্থ পরিপূর্ণ করার জন্য ব্যবহৃত হয়, কিন্তু নিজে থেকে পূর্ণ অর্থ প্রকাশ করে না। এটি সাধারণত অন্য শব্দের সাথে যুক্ত হয়ে বাক্যের ধারণা বা গঠন পরিষ্কার করে। হারফ মূলত বাক্যের সম্পর্ক স্থাপন, শর্ত স্থাপন, বা কোনো বিশেষ দিক নির্দেশ করে।হারফের মধ্যে অব্যয় (Preposition and Conjunction) অন্তুর্ভুক্ত।

  • উদাহরণ: مِنْ (“থেকে”), إِلَى (“দিকে”), فَ (ফা) – “তাহলে”, لَا (লা) – “না”, وَ (ওয়া) – “এবং”

ফি’ল (فِعْلٌ) অর্থ ক্রিয়া/Verb । এটি এমন শব্দ যা কোনো কাজ, অবস্থা বা ঘটনার প্রকাশ করে। সংক্ষেপে মূল বৈশিষ্ট্য :

  • ফি’ল দ্বারা কোনো কাজ বা অবস্থা বোঝানো হয়।
  • এটি কাল (Past, Present, Future) নির্দেশ করে।যেমন : (فِعْلٌ مَاضِي) – অতীত কাল , (فِعْلٌ مُضَارِعٌ) – বর্তমান বা ভবিষ্যৎ কাল, (فِعْلُ الْأَمْرِ) – নির্দেশসূচক বা আদেশমূলক ক্রিয়া
  • এটি ব্যক্তি ও সংখ্যা অনুযায়ী পরিবর্তিত হয়।

ضَرَبَ ফি’লের গুরুত্বপূর্ণ ৮ টি সদস্য নিচে দেখানো হলো :


লাইট

বর্তমান/ভবিষ্যত-Active

অতীত-Active
يَضْرِبَيَضْرِبُضَرَبَ

লাইটেস্ট

বর্তমান/ভবিষ্যত-Passive

অতীত-Passive
يَضْرِبْيُضْرَبُضُرِبَ

অনুজ্ঞাসূচক নিষেধ/نَهْي

অনুজ্ঞাসূচক আদেশ/أَمْر
لاَ تَضْرِبْإِضْرِبْ

*উপরের ৮ টি সদস্য থেকে সর্বমোট ৯৬ টি সদস্য পাওয়া যায় । বিস্তারিত পড়তে দয়া করে এই লিঙ্ক অনুসরণ করুন : https://quranicarabiclearningcafe.com/root-letter/

আরবী ব্যাকরণে স্টেটাস অনেক গুরুত্বপূর্ণ একটি ধারণা/Concept. স্টেটাস দিয়ে একটি ইসম বাক্যে কি ভূমিকা/মর্যাদায় অবস্থান করছে, তা বুঝানো হয়।যেমন একটি বাক্যে একটি ইসম কখনো বাক্যের কর্তা/Subject হিসেবে কাজ করতে পারে, কখনো কর্ম/Object হিসেবে কাজ করতে পারে আবার কখনো সম্বন্ধসূচক/Possessive Adjective ভূমিকায় থাকতে পারে। স্টেটাস/Status শুধুমাত্র ইসমের জন্য প্রযোজ্য।

আরবি ব্যাকরণে স্ট্যাটাস তিন প্রকার: 

  • রফা/رفع/কর্তা/Subject
  • নাসব/نصب/কর্মবাচক/Object
  • জার্/جار/সম্বন্ধসূচক/Possessive Adjective

এই ধারণাটি বুঝতে, আমরা সর্বনামের বিভিন্ন অবস্থার কিছু উদাহরণ দেখতে পারি। যেমন, রফা অবস্থায় আমরা ‘আমি’ ব্যবহার করি, নসব অবস্থায় ‘আমাকে’ ব্যবহার করি এবং জার অবস্থায় ‘আমার’ ব্যবহার করি। চলুন কিছু উদাহরণ দেখি:

  1. রফা (رفع) – আমি (I):
    আমি স্কুলে যাই/I go to school.
    → এখানে ‘আমি/I‘ হচ্ছে বাক্যের কর্তা, অর্থাৎ রফা অবস্থায় আছে।
  2. নসব (نصب) – আমাকে (Me):
    ✅ সে আমাকে ডাকল/He called me.
    → এখানে ‘আমাকে/me‘ হচ্ছে কর্ম বা অবজেক্ট, অর্থাৎ নাসব অবস্থায় আছে।
  3. জার (جرّ) – আমার (My):
    ✅ এটি আমার বই It is my book.
    → এখানে ‘আমার/my‘ হচ্ছে মালিকানা বোঝাচ্ছে, অর্থাৎ জার অবস্থায় আছে।

মুবতাদা হলো নামমাত্র বাক্যের Subject/উদ্দেশ্য এবং বাক্যের কেন্দ্রবিন্দু। সাধারণত বাক্যের শুরুতে থাকে এবং বিশেষ্য/সর্বনাম হয়। যেমন, “রাতুল একজন ছাত্র” বাক্যে “রাতুল” হল মুবতাদা।মুবতাদা হিসাবে সাধারণত কাজ করতে পারে হারফুন নাসব এবং ইহার ইসম, একটি ইসম, ইসমূল ইশারা, সর্বনাম, মুদফ মুদফ ইলাইহি, মাওসুফ সিফাহ, ইসমূল ইশারা + আলিফ লাম যুক্ত ইসম ইত্যাদি ।

খবর (خبر) হলো একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ, যা নামমাত্র বাক্যের Predicate বা বিধেয় হিসেবে কাজ করে। যখন একটি বাক্যে মুবতদা (Subject) থাকে, তখন খবর সেই মুবতদা সম্পর্কে কোনো তথ্য বা বর্ণনা প্রদান করে। এটি মূলত বাক্যের বিষয়বস্তু বা অর্থ পূর্ণ করে।

মুতাআল্লিক বিল খবর হল সেই বাক্যাংশ যা খবরের সাথে সম্পর্কিত এবং খবর সম্পর্কে অতিরিক্ত তথ্য প্রদান করে। এটি সাধারণত খবরের পরে থাকে তবে বাক্যে জোর দিতে খবরের আগেও আসতে পারে।যেমন,”রাতুল এই স্কুলের মধ্যে একজন ভালো ছাত্র” বাক্যে “এই স্কুলের মধ্যে” হল মুতাআল্লিক বিল খবর।খবর হিসাবে সাধারণত যারা কাজ করতে পারে :

  • জার্ মাজরূর
  • বিশেষ মুদফ ও মুদফ ইলাইহি

জুমলা ইসমিয়া/নামমাত্র বাক্যে কোন কিছুর অবস্থান বুঝাতেও মুতাআল্লিক বিল খবর ব্যবহৃত হয়। সেক্ষেত্রে মুতাআল্লিক বিল খবর আগে আসে এবং মুবতাদা তারপর আসে। খবর এইসব বাক্যের ক্ষেত্রে উহ্য থাকে।

মুতাআল্লিক বিল খবরখবরমুবতাদা
بِالظَّالِمِينَعَلِيمٌوَاللَّهُ
بِذَاتِ الصُّدُورِعَلِيمٌوَاللَّهُ
لَّكُمْخَيْرٌذَٰلِكَ

আরবি ব্যাকরণে ফা’ইল (فاعل) হলো একটি শব্দ যা কোনো ক্রিয়ার কর্তা বা Doer। এটি হলো সেই ব্যক্তি বা বস্তু যা কোনো ক্রিয়া বা কাজ সম্পন্ন করে। ফা’ইল সাধারণত ক্রিয়া (فعل) এর পরে আসে এবং এটি রফা স্ট্যাটাসে থাকে।তবে যদি ক্রিয়ার ফা’ইল দৃশ্যমান না থাকে, তখন প্রতিটি ফি’লের মধ্যে লুকায়িত মুক্ত সর্বনাম ফা’ইল হিসাবে কাজ করে ।

বিশ্লেষণক্রিয়াবাচক বাক্য
এই বাক্যে خَلَقَ ফি’লের মধ্যে কর্তা (সর্বনাম-هُوَ/সে/তিনি) লুকায়িত আছে।خَلَقَكُم مِّن نَّفْسٍ وَاحِدَةٍ
এই বাক্যে قَتَلَ ফি’লের জন্য কর্তা হলো রফা ফর্মে থাকা دَاوُودُقَتَلَ دَاوُودُ جَالُوتَ

কর্ম হলো সেই ব্যক্তি বা বস্তু, যার ওপর ক্রিয়ার প্রভাব পড়ে। এটি সাধারণত ক্রিয়া এবং কর্তার পর আসে এবং বাক্যের অর্থকে তথ্যবহুল করে তোলে। মাফউল সাধারণত নাসব স্ট্যাটাসে আসে। মাফউলকে বিভিন্নভাবে নামকরণ করা যায়। সরলতার জন্য, আমরা কেবল দুটি প্রধানভাগে বিভক্ত করবো, যথা :

  • মাফউলুন বিহি (ব্যক্তি/বস্তুবাচক কর্ম):কাকে‘ বা ‘কী‘ দ্বারা ক্রিয়া সংঘটিত হয়েছে, তা বোঝাতে ব্যবহার হয়।
  • অন্যান্য মাফউল: একটি ক্রিয়াবাচক বাক্যে ‘কী‘ বা ‘কাকে‘র প্রশ্নের উত্তর ছাড়াও আরো প্রশ্নের (কোথায়, কখন, কিভাবে ইত্যাদি) উত্তর থাকতে পারে। সাধারণত ঐ ধরণের প্রশ্নের উত্তরে নাসব স্ট্যাটাসের ইসম/বাক্যাংশ(মুদফ ইলাইহি অথবা মাউসুফ সিফাহ) অন্যান্য মাফউল হিসেবে আসে। উদাহরণস্বরূপ:
কোন প্রশ্নের উত্তরমাফউলক্রিয়াবাচক বাক্য
কাকেجَالُوتَقَتَلَ دَاوُودُ جَالُوتَ
কাকে হত্যা করল ?জালূতকেদাউদ জালূতকে হত্যা করল
কাকেكُمخَلَقَكُم مِّن نَّفْسٍ وَاحِدَةٍ
কাকে সৃষ্টি করেছেন ?তোমাদেরকেতিনি তোমাদেরকে এক ব্যক্তি থেকে সৃষ্টি করেছেন
কীالْقُرْآنَوَلَقَدْ يَسَّرْنَا الْقُرْآنَ لِلذِّكْرِ
কী সহজ করেছি ?কোরআনকেনিশ্চয় আমরা কোরআনকে বোঝার জন্যে সহজ করেছি
কাকে
কখন
قَوْمِي
لَيْلًا وَنَهَارًا
دَعَوْتُ قَوْمِي لَيْلًا وَنَهَارًا 
কাকে দাওয়াত দিয়েছি ?
কখন দাওয়াত দিয়েছি ?
আমার সম্প্রদায়কে
দিবারাত্রি

আমি আমার সম্প্রদায়কেদিবারাত্রি দাওয়াত দিয়েছি

যদি কোনো ক্রিয়াবাচক বাক্যে জার মাজরুর বা বিশেষ মুদফ-মুদফ ইলাইহি বাক্যাংশ আসে, তা মুতাআল্লিক বিল ফি’ল হিসেবে গণ্য হয়। এগুলো ফি’লের সাথে সম্পর্কিত থাকে এবং বাক্যের অর্থকে আরো তথ্যবহুল করে। উদাহরণস্বরূপ:

বাক্যাংশমুতাআল্লিকক্রিয়াবাচক বাক্য
জার মাজরুর*مِّن نَّفْسٍ وَاحِدَةٍخَلَقَكُم مِّن نَّفْسٍ وَاحِدَةٍ
বিশেষ মুদফ-মুদফ ইলাইহিفَوْقَكُمْبَنَيْنَا فَوْقَكُمْ سَبْعًا شِدَادًا

*জার-মাজরুর বাক্যাংশের সাথে সমন্বিতভাবে মুদফ মুদফ ইলাইহি/মাউসুফ সিফাহ বাক্যাংশ আসতে পারে। যেহেতু বাক্যাংশটি শুরু হচ্ছে জার-মাজরুর হিসাবে, আমরা এটাই বিবেচনা করবো।

আরবি ব্যাকরণে نَائِبُ الْفَاعِلِ (নায়িবুল ফা’ইল) হলো সেই শব্দ বা উপাদান যা ফা’ইল (ক্রিয়ার কর্তা) এর স্থানে ব্যবহৃত হয় যখন ক্রিয়াটি মাজহুল (passive) হয়ে যায়। এটি ফা’ইল এর জায়গায় আসে এবং কার্যকরী ভূমিকা পালন করে, যখন মূল ফা’ইল উল্লেখিত না থাকে বা প্রকাশিত না হয়।

আরবি ভাষায় হারফে জার (حرف الجر) হলো এমন একটি অব্যয় বা Preposition যা ইসমের (নাম) আগে বসে, সেই ইসমের স্ট্যাটাসকে জার ফর্মে (genitive case) পরিবর্তিত করে। এই ধরনের হারফে জার ইসমের সাথে সম্পর্ক স্থাপন করে এবং বাক্যের অর্থ পরিষ্কার করার জন্য ব্যবহৃত হয়। পবিত্র কুরআনুল কারীমে ১১ টি হারফে জার ব্যবহৃত হয়েছে যথা : ب (সাথে), ت (শপথ__), ك (যেমন), ل (জন্য), و (শপথ__), مِنْ (থেকে), فِي (মধ্যে), عَنْ (ব্যাপারে), عَلَى (উপরে),حَتَّى (যতক্ষণ না পর্যন্ত), إِلَى (কোন কিছুর দিকে/প্রতি) । উদাহরণ :

عَلَى ٱلأَرْضِ (পৃথিবীর উপরে)

  • حرف الجر (হারফে জার): عَلَى (উপর)
  • জার ফর্মে ইসম: ٱلأَرْضِ (পৃথিবী)
  • মূল অবস্থা (হারফে জার আসার আগে): ٱلأَرْضُ ( মারফু’ অবস্থায়)

বিস্তারিত পড়তে দয়া করে এই লিঙ্ক অনুসরণ করুন : https://quranicarabiclearningcafe.com/jarr-majroor/

হারফুন নাসব অনেকটা হরফে জারের মতো অর্থাৎ হারফুন নাসব একধরণের পদান্বয়ী অব্যয় যা কোন নির্দিষ্ট ইসমের স্ট্যাটাসকে নাসব ফর্মে/মানসুব করে দেয়।হরফে জারের সাথে হারফুন নাসবের পার্থক্য হল হরফে জারের পরের ইসমটির স্টেটাস জার্ ফর্ম/মাজরূর হবে অন্যদিকে হারফুন নাসবের পরে যেকোন জায়গায় ইসমটি আসতে পারে (পাশাপাশি আসা জরুরি নয়) এবং এই ইসমটির স্টেটাস নাসব ফর্ম/মানসুব হবে। পবিত্র কুরআনুল কারীমে বহুল ব্যবহৃত ৭ টি হারফুন নাসব হলো: إِنَّ (নিশ্চয়/Certainly), أَنَّ (যে/that), كَأَنَّ (যেন/as though), لَعَلَّ (যাতে/So that), لَكِنَّ (কিন্তু/But), لَيْتَ (হায়/Alas), بِأَنَّ (কারণ/because).

উদাহরণ :
إِنَّ إِبْرَاهِيمَ (নিশ্চয়ই ইব্রাহীম)

  • حَرْفُ ٱلنَّصْبِ (হারফুন নাসব) : إِنَّ (নিশ্চয়ই)
  • নাসব ফর্মে ইসম: إِبْرَاهِيمَ (ইব্রাহীম)
  • মূল অবস্থা (হারফুন নাসব আসার আগে): إِبْرَاهِيمُ ( মারফু’ অবস্থায়)

বিস্তারিত পড়তে দয়া করে এই লিঙ্ক অনুসরণ করুন : https://quranicarabiclearningcafe.com/harfun-nasb-ismuha/

যে হারফ/অব্যয় দ্বারা দুটি ইসম বা দুটি ফি’ল বা দুটি বাক্য যুক্ত করা হয় সেসকল হারফ/অব্যয়কে বলে হারফুল আতফ ।  ইংরেজীতে এইগুলিকে বলা হয় conjunction যেমন and, or, but ইত্যাদি। আরবি ব্যাকরণে conjunction/হারফুল আতফ দশটি  و, فا, ثم ,حتي ,أَوْ , إما ,أم ,بل, لكن ,لا । হারফে আতফ যে ইসম, ফি’ল বা বাক্যকে যুক্ত করে তাদের বলা হয় মা’তুফ ।হারফে আতফ পূর্ববর্তী যে ইসম, ফি’ল বা বাক্যের সাথে যুক্ত করে তাদেরকে বলে  মা’তুফ আলাইহি ।উদাহরণ :

মা’তুফহারফুল আতফ মা’তুফ আলাইহি বাক্যের বাকি অংশ
أَجْرٌ عَظِيمٌوَمَّغْفِرَةٌلَهُم 
أَجْرٌ كَبِيرٌ وَمَّغْفِرَةٌلَهُم 
الْأَرْضِوَالسَّمَاوَاتِ لَهُ مُلْكُ

বিস্তারিত পড়তে দয়া করে এই লিঙ্ক অনুসরণ করুন : https://quranicarabiclearningcafe.com/harful-atf/

যে হারফ/অব্যয় দ্বারা ডাকা হয় তাকে হারফুন নিদা/حَرْفُ النداء বলে ।পবিত্র কুরআনুল কারীমে সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত হারফুন নিদা হলো يَا যার বাংলা অর্থ হলো হে/ওহে। অপরদিকে, হারফুন নিদা দ্বারা যাকে ডাকা/সম্বোধন করা হয় তাকে মুনাদা/اَلْمُنَادَى বলা হয়। মুনাদা সর্বদা নির্দিষ্ট।

মুনাদাহারফুন নিদাবাংলা অর্থআরবি শব্দসমূহ
آدَمُيَاহে আদমيَا آدَمُ
نُوحُيَاহে নূহيَا نُوحُ
إِبْرَاهِيمُيَاহে ইব্রাহীমيَا إِبْرَاهِيمُ

বিস্তারিত পড়তে দয়া করে এই লিঙ্ক অনুসরণ করুন : https://quranicarabiclearningcafe.com/harfun-nida-munada/

মুক্ত/Detached নাম থেকে অনুমান করতে পারি এই সর্বনামগুলো কোন ইসম, হারফ বা ফি’লের সাথে যুক্ত অবস্থায় থাকেনা বরং সর্বদা মুক্ত অবস্থায় থাকবে। আরবি ব্যাকরণে মুক্ত সর্বনাম ১৪ টি। নিচে অর্থসহ ১৪ টি সর্বনামের তালিকা দেয়া হলো:

বহুবচনদ্বিবচনএকবচনলিঙ্গপুরুষ
তারা هُمْতারা দুজন هُمَاসে هُوَপুংনাম পুরুষ
তারা هُنَّতারা দুজন هُمَاসে هِيَস্ত্রী
তোমরা أَنْتُمْতোমরা দুজন أَنْتُمَاতুমি أَنْتَপুংমধ্যম পুরুষ
তোমরা أَنْتُنَّতোমরা দুজন أَنْتُمَاতুমি أَنْتِস্ত্রী
আমরা نَحْنُআমি أَنَاউভয়উত্তম পুরুষ

উত্তম পুরুষ দ্বিবচনের ক্ষেত্রেও نَحْنُ ব্যবহৃত হবে

বিস্তারিত পড়তে দয়া করে এই লিঙ্ক অনুসরণ করুন : https://quranicarabiclearningcafe.com/মুক্ত-সর্বনাম-detached-pronoun/

যুক্ত সর্বনাম বলতে ঐসকল সর্বনামগুলোকে বুঝায় যারা সর্বদা কোনো ইসম, ফি’ল অথবা হারফের সাথে যুক্ত অবস্থায় থাকে এবং কখনো মুক্ত অবস্থায় দেখা যায়না। প্রতিটা ইসমের তিনটি স্টেটাস হয় যথা রফা , নাসব ও জার্। সর্বনামও যেহেতু ইসমের অন্তর্ভুক্ত, তাই প্রতিটা সর্বনামের তিনটি স্টেটাস পাওয়া যাবে। মুক্ত সর্বনামের স্টেটাস সর্বদা রফা। যুক্ত সর্বনামের স্টেটাস নাসব/জার্ হবে। পবিত্র কুরআনুল কারীমে বহুল ব্যবহৃত যুক্ত সর্বনাম গুলোর নাম নিচে দেয়া হলো :

বহুবচনএকবচনলিঙ্গ
هِمْ I هُمْ (তাদেরকে/তাদের)هِ I هُ (তাকে/তার)পুং
هَا (তাকে/তার)স্ত্রী
كُمْ (তোমাদেরকে/তোমাদের)كَ (তোমাকে/তোমার)পুং
كِ (তোমাকে/তোমার)স্ত্রী
نَا (আমাদেরকে/আমাদের)نِيْ I يِ (আমাকে/আমার)উভয়

বিস্তারিত পড়তে দয়া করে এই লিঙ্ক অনুসরণ করুন : https://quranicarabiclearningcafe.com/যুক্ত-সর্বনাম-attached-pronoun/

যে সমস্ত শব্দের দ্বারা কোন ব্যক্তি বা বস্তুর দিকে ইশারা করা হয় সে সমস্ত শব্দকে আরবীতে ইসমুল ইশারা (إِسْمُ الْاِشَارَةِ) বলা হয়। বেশিরভাগ ইসমুল ইশারাগুলো (দ্বিবচন ছাড়া) non-flexible অর্থাৎ রফা, নাসব এবং জার্ স্ট্যাটাসের জন্য দেখতে একইরকম হয়।কোরআনে বহুল ব্যবহৃত ইসমুল ইশারার তালিকা দেয়া হলো: هٰذَا (এই/এটি – পুংবাচক) هٰذِهِ (এই/এটি – স্ত্রীবাচক) هُؤُلَاءِ (এইগুলো/এই সকল) ذٰلِكَ (ঐ/ওটা – পুংবাচক) تِلْكَ (ঐ/ওটা – স্ত্রীবাচক) أُو۟لَٰئِكَ (ঐগুলো/ঐ সকল) । মুশারুন ইলাইহি হলো – যার/যেই জিনিসের দিকে ইশারা করা হয় I যেমন “ঐ লোকটি ” এখানে “ ” -ইসমুল ইশারা , “লোকটি ” – মুশারুন ইলাইহি ।ইসমুল ইশারা এবং মুশারুন ইলাইহির চারটি বৈশিষ্ট্য একরকম হবে, ইসমুল ইশারা এবং মুশারুন ইলাইহি পাশাপাশি বসবে এবং মুশারুন ইলাইহি একটি আলিফ লাম যুক্ত ইসম হবে ।

মুশারুন ইলাইহিইসমুল ইশারাবাংলা অর্থবাক্যাংশ
الْقُرْآنُهَٰذَاএই কুরআনهَٰذَا الْقُرْآنُ
الْوَعْدُهَٰذَاএ ওয়াদাهَٰذَا الْوَعْدُ
الْبَلَدُهَٰذَا এই শহরهَٰذَا الْبَلَدُ 

বিস্তারিত পড়তে দয়া করে এই লিঙ্ক অনুসরণ করুন : https://quranicarabiclearningcafe.com/ismul-ishara-fragment/

ইসম মাওসুল হলো একটি অসম্পূর্ণ অর্থপূর্ণ اسم। এই কারণে, এটি কখনও একা দেখা যায় না। এটি সর্বদা একটি যৌগিক ইসম/اسم এর অংশ হিসেবে দেখা যায়।বাকি অংশটিকে সিলাহ বলা হয় । ইসম মাওসুল এবং সীলাহ একে অপরের সাথে অবিচ্ছেদ্য। ব্যাকরণ এবং অর্থের দিক থেকে তারা এতটাই ঘনিষ্ঠভাবে যুক্ত যে, তাদের একটি একক যৌগিক اسم হিসেবে বিবেচনা করা হয়।

পবিত্র কুরআনুল কারীমে বহুল ব্যবহৃত ইসম মাওসুল হলো : ٱلَّذِي – যে/যিনি (পুংলিঙ্গ), ٱلَّذِينَ – যারা (২ এর বেশি), ٱلَّتِي – যে/যিনি (স্ত্রীলিঙ্গ), مَنْ – যে/যাহারা/যে কেউ, مَا – যা/যাহা/কিছু।

বিস্তারিত পড়তে দয়া করে এই লিঙ্ক অনুসরণ করুন : https://quranicarabiclearningcafe.com/use-ism-mawsul-silah/

error: Content is protected !!
Scroll to Top