নিম্নের টেবিলে পবিত্র কুরআনুল কারীমে প্রত্যক্ষভাবে উল্লেখিত ৭ টি গুণাবলীর (*) কথা রয়েছে, যেই গুণগুলো অর্জনের মাধ্যমে আমরা আল্লাহর ভালোবাসা অর্জন করতে পারি :
বাংলা অর্থ | আরবি আয়াত |
নিশ্চয় আল্লাহ্ মুত্তাকীদের ভালোবাসেন। | إِنَّ اللَّهَ يُحِبُّ الْمُتَّقِينَ |
নিশ্চয় আল্লাহ অনুগ্রহকারীদেরকে ভালোবাসেন। | إِنَّ اللَّهَ يُحِبُّ الْمُحْسِنِينَ |
নিশ্চয় আল্লাহ তওবাকারী এবং পবিত্রতা রক্ষাকারীদের ভালোবাসেন। | إِنَّ اللَّهَ يُحِبُّ التَّوَّابِينَ وَيُحِبُّ الْمُتَطَهِّرِينَ |
আল্লাহ্ ধৈর্যশীলদের ভালোবাসেন। | اللَّهُ يُحِبُّ الصَّابِرِينَ |
নিশ্চয় আল্লাহ্ (তার উপর) নির্ভরশীলদের ভালোবাসেন। | إِنَّ اللَّهَ يُحِبُّ الْمُتَوَكِّلِينَ |
নিশ্চয় আল্লাহ সুবিচারকারীদেরকে ভালোবাসেন। | إِنَّ اللَّهَ يُحِبُّ الْمُقْسِطِينَ |
উল্লিখিত সকল বাক্যগুলো মিশ্র বাক্যের উদাহরণ যেখানে প্রতিটি বাক্যকে জুমলা ইসমিয়া/নামবাচক বাক্য হিসাবে বিবেচনা করা হয়। প্রতিটি বাক্যে মুবতাদা (إِنَّ اللَّهَ এবং একটি বাক্যের ক্ষেত্রে শুধু اللَّهَ) এবং খবর (বাক্যের বাকি অংশ) রয়েছে। অতঃপর খবর কে বিশ্লেষণ করলে দেখা যায় খবর নিজেই একটি জুমলা ফি’লিয়া/ক্রিয়াবাচক বাক্য যার মধ্যে ফি’ল এবং মাফউলুন বিহী রয়েছে।
অপরদিকে আমরা যদি আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তায়ালাকে ভালোবাসতে চাই তাহলে আমাদের করণীয় সম্পর্কে নিচের আয়াতে বলা আছে : قُلْ إِن كُنتُمْ تُحِبُّونَ اللَّهَ فَاتَّبِعُونِي يُحْبِبْكُمُ اللَّهُ وَيَغْفِرْ لَكُمْ ذُنُوبَكُمْ ۗ وَاللَّهُ غَفُورٌ رَّحِيمٌ (৩:৩১) বলুন (হে মুহাম্মাদ সা:) — ”তোমরা যদি আল্লাহ্কে ভালোবাসো তবে তোমরা আমার অনুসরণ করো, তাহলে আল্লাহ্ তোমাদের ভালোবাসবেন, আর তোমাদের মুক্তি দিবেন তোমাদের পাপ থেকে। কেননা আল্লাহ হলেন ক্ষমাশীল ও দয়ালু।’’
*পবিত্র কুরআনুল কারীমে মু’মিনরা কেমন অর্থাৎ তাদের বৈশিষ্ট্য, তাদের কি করা উচিত যেমন অনেক আদেশ ও নিষেধের কথা এসেছে। অতএব উপরের বৈশিষ্ট্যগুলোই সব নয় তবে খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
سبحان الله